যাদের পেটে গ্যাস্ট্রিক আছে তারাই বুঝে গ্যাস্ট্রিক এর জ্বালা। গ্যাস এর সমস্যা ভোগ এ না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। গ্যাস্ট্রিক ও আলসার রোগটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত।পেটে অনেক গ্যাস্টিক?ঔষধ খাচ্ছেন কাজ হচ্ছে না?ঠিক এই রকমের প্রশ্ন অনেকের-ই মনে।আসলে খালি ওষুধ খেলেই গ্যাস্টিক নিয়ন্ত্রণ এ আনা যায় না।আমাদের জীবনের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন আনা উচিৎ। গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে যদি কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের লক্ষণসমূহঃ
- বুক অথবা পেটে ব্যাথা অনুভব করা।
- বমি ভাব ও বমি হওয়া।
- বুক জ্বালা-পোড়া করা।
- অতিরিক্ত হেচকি ওঠা।
- বেশি বেশি ক্ষুধা পাওয়া।
- টক/তেতো ডেকুর তোলা।
- পেটের উপরে গরম অনুভব করা।
গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে বাঁচার উপায়ঃ
খাওয়া-দাওয়াঃ
প্রত্যেকদিনের কাজ,খাওয়া ও ঘুম এর সময় যেন প্রভাবিত না হয়। এর কারনে আপনার পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয়। এই নিয়ম টি মানলেই আপনার পেটের গ্যাস্ট্রিক সমাধান হতে পারে।
যেসব খাবার খাবেন নাঃ
যে সকল খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক সৃষ্ট হয় সেগুলো খাবেন না। যেমন:তৈলাক্ত খাবার,মসলা যুক্ত খাবার ইত্যাদি। এসব খাবার থেকে বিরত থাকলেই আপনার গ্যাস্ট্রিক সমাধান হতে পারে।
অভ্যাস পরিবর্তন করুনঃ
অনেকে আছেন খাওয়ার পড়েই শুয়ে পড়ে।এই বদঅভ্যাস পরিবর্তন করুন।খাওয়ার পর সাথে সাথে শুয়ে পড়বেন না।খাওয়ার পরে শুয়ে পড়লে গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি হয়।
একবার না খেয়ে বার বার খাবার খানঃ
অনেককে দেখা যায় একসাথে গলা পর্যন্ত খেয়ে নেয়।একবারে গলা পর্যন্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি হয়।অনেক খাবার না খেয়ে বার বার খাবার খান।
নেশাকে না বলুনঃ
মদ্যপান ও সিগারেট পান করলে পরিহার করুন। এসব নেশা ছেড়ে দিন কারন এসবই গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি করে।
উপরের টিপস গুলা মেনে চলার চেষ্টা করুন। এতে আপনার পেটের গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণ থাকবে বলে আশা করা যায়। পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেয়ার অনুরোধ রইল।
Please note that the content, videos and images used in this blog may have been taken from various websites/books. We share them for your valuable content, others' benefit. However, if you have any objections, please let us know. Your content will be removed.
0 Comments