');
পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়
পরীক্ষায় a+ পাওয়ার ৭টি উপায়
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা,আজকে তোমাদের এমন একটি টিপস শেয়ার করবো যা মেনে চলতে পারলে পরীক্ষায় a+ পেতে পারো ইনশাআল্লাহ।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল সবাই কামনা করে।
একটি ভালো ফলাফল মানে তোমার মায়ের মুখে হাসি,বাবার মুখে হাসি এবং পাশের বাসার অ্যান্টি মুখে চুন-কালি। এ হাসি টাকা দিতে কেনা যায় না।
তবে তুমি পরিশ্রম দিয়ে এ হাসি সহজেই কিনতে পারো।
নিজের জন্য নয় বরং বাবা-মায়ের দিকে চেয়ে আমরা এটটুকু চেষ্টা করতেই পারি।
তাই আজ আমি সহজেই পরীক্ষায় a+ পাওয়ার ৭টি উপায় শেয়ার করবো।

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় 


প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন করো 

এমন কাউকে খুঁজে বের করো যাকে দিয়ে সবাই a+ পাওয়ার আশা করে।
শুধু মাত্র খুঁজে বের করাই শেষ নয়।
আর খুঁজে বের করাটাও কিন্তু কঠিন কোনো কাজ নয়।
প্রতিটি ক্লাসে এমন কেউ থাকে যাকে দিয়ে সবাই a+ পাওয়ার আশা করে।
তার সাথে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করো।
সে যদি তোমার সাথে বন্ধুত্ব নাও করে তবে হাল ছেড়ে দিও না।
তার প্রতিটি কাজকে ফ্লো করো এবং তার চেয়ে বেশি করার চেষ্টা করো।
এভাবে চলতে থাকলে তার কার্যকলাপ তোমার মাঝে প্রভাব ফেলবে। বলা যায়,এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

নিয়মিত হও


পরীক্ষায় a+ পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
আমি লাইফে এমন কাউকে দেখিনি যে, যে অনিয়মিত কিন্তু পরীক্ষায় a+ পেয়েছে।
মনে করো, তুমি কোনো কারণে ১ দিন পড়াশোনা করতে পারলে না।
পরের দিন তুমি ২ দিনের পড়া পড়ে নিতে চাইলে।
এক্ষেত্রে তোমার কাছে দ্বিগুণ কঠিন হয়ে যাবে।এর কারণে তুমি তোমার নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারো।যা তুমি কখনোই চাও না।
সাধারণত ভালো ছাত্ররা প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করে এজন্য তাদের কাছে সহজ।
আমরা তো ১দিন নয় এমনকি সপ্তাহ খানেক বইতে হাতই দেই না।চাইলে তুমি এটাকে গেম হিসেবে নিতে পারো।
এই গেমে প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করাটাই বিষয়।
এবং পরীক্ষা শেষে রেজাল্টই গেমের স্কোর! গেম মোবাইল ফোনে না খেলে নিজের লাইফের সাথে খেললে ভালো ফল করাই যায়।
তবে গেমটি হওয়া চাই এরকম।

মনোযোগী হও


মনোযোগ সবার মাঝে আছে।
তবে আমরা ভালো কাজে মনোযোগ একটু কমই দেই।
তাই এখন থেকেই এই অভ্যাস ত্যাগ করা যেতে পারে।
কম্পিউটার কিংবা মোবাইল এক সজ্ঞে দুইটি এপস ব্যবহার করা গেলেও মানুষের ব্যাপারটি কিন্তু ভিন্ন রকম। ক্লাসে বসে বন্ধুদের সাথে গল্প করবে এবং স্যারের কথাও শুনবে।
এরকম ভাবে চলা যাবে না।আর তুমি যদি চলতে পারো তাহলে বেশি দূর যেতে পারবে না।
মনোযোগ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে না দিয়ে একস্থানে দিতে হবে।
একজন কৃষকের অধিকাংশ মনোযোগ থাকে তার মাঠের ফসল এর দিকে।
সে সবসময় চিন্তা করে ,কিভাবে তার ফসল ভালো করা যায়।
অন্যদিকে এমনও ছাত্র আছে যে চায় ,সে গেমস এর সময়ে গেম খেলবে পড়ার সময়ে পড়বে।
ফলাফল এটিই আসবে যে, পড়ার টেবিলে পড়তে বসলে তার পাবজি,ফ্রি ফায়ার গেমসের কথা মাথায় ঘুরপাক খাবে!
মনোযোগী হওয়া যতটা কঠিন আমরা ভাবি, ততটা কঠিন নয়।
আমি ছাত্র জীবনে এমনও অনেক শিক্ষক পেয়েছি যারা বলে,তোমার কিছু করা লাগবে না শুধু আমার কথা গুলো মনোযোগ সহকারে শুনবে।
স্যার আমাদের পড়া না পাড়লে কখনোই বকা দিত না বরং যখন আমরা অমনোযোগী হয়ে অন্যদের সাথে গল্প করতাম তখন আমাদের প্রশ্ন করতো প্রশ্নের উত্তর সঠিক না বলতে পারলে আমাদের সামান্য বকা দিত এভাবেই এক সময় দেখা গেলো তার ক্লাসের সব শিক্ষার্থীরা খুবই মনোযোগী স্যার বলতো, তোমার যত গল্প/প্রশ্ন আছে তা তুমি আমার কাছে বলো কিন্তু পাশের কাউকে বলা যাবে না!
বছর শেষে দেখা গেলো ,আমি তার সাবজেক্টেই ভালো রেজাল্ট করলাম।
একজন শিক্ষক বছরে একই লেকচার বার বার রিপিট করে।
অন্যদিকে কঠিন বিষয়কে সহজ করে দেয়।
স্যার যদি ক্লাসে গল্প করে তবেও মনোযোগ সহকারে শুনবে।

সময়ের চেয়ে দ্রুত হও


যদিও এটি সম্ভব নয়।তবে চেষ্টা করলে ভালোই ফলাফল আসবে।
ছোট সময় থেকে আমরা বইতে পড়ে আসছি, সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
তাই আমি মনে করি,সময়ের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি কিন্তু সময়ের সাথে চলতে পারি না।
সময়ের চেয়ে দ্রুত হতে না পারলেও সময়ের সাথে চলতে হবে।
কিন্তু আমি সময়ের সাথে দ্রুত হতে কেন বললাম?
আমি একসময় আশানুরূপ ফল অর্জন করতে পারিনি!
সেই সময় এক বড় ভাই বলল, কেউ যদি এ প্লাস এর আশা করে সে তাহলে এ পাবে,এ গ্রেড পাবে।
এ গ্রেড আশা করলে এ- পাবে। তার কথায় আমি যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছিলাম।
তোমার লক্ষ্য যদি হয়,সময়ের চেয়ে দ্রুত হওয়া তাহলে সময়ের সজ্ঞে চলতে পারবে।

সহজ হিসেবে গ্রহন করো


কোনো কিছু করতে গেলেই ব্রেন সিগন্যাল দেয়,কাজটা খুব কঠিন!
 এক সময় আমার আম্মা বলেছিলো, যা বাজার থেকে বাজার করে নিয়ে আয় আমি ভেবেছিলাম,বাজারে যাবো ,কতো কষ্ট করে বাজার করতে হবে!
খুব কঠিন কাজ এক সময় আমি উপলব্দি করলাম আমি আমার ব্রেনে যা দিচ্ছি তার আউটপুট আসছ, খুব কঠিন। পরে নিজেকে ঠিক করে নিলাম।
এরকম সমস্যা শুধু আমার মধ্যে আছে এমন নয়।
অনেকের মধ্যেই আছে। যা উপলব্দি করতে করতে অনেক সময় নষ্ঠ হয়ে যায়।
অন্যদিকে ইংরেজি বই হাতে নিলে মনে হয়, ইংরেজি অনেক কঠিন!
তখন ইংরেজি রেখে দিয়ে গনিত হাতে নেই ।
কিন্তু ফলাফল তো একই! এসব সমস্যা প্রতিদিনই ফেস করতে হয়।
ছোট সমস্যা কিন্তু ব্যাপক প্রভাব ফেলে। অতি জরুরী এ সমস্যা সমাধান করা উচিৎ।
এর ভালো একটি সমাধান হলো , সবকিছুকে কঠিন না ভেবে সহজ ভাবা

কৌশলী হও


বর্তমান পরিস্থিতিতে একটু কৌশলী না হলে চলে না।
সে যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন।
সকালে যা পড়লে পরীক্ষার হল এ তাই চলে আসলো মানে কমন পড়লো।
 হুবহু লেখার পড়েও ফলাফল সে একই !
এর কিছু কারণ রয়েছে।
প্রায় সময়ই দেখা যায়,এসএসসি পরীক্ষার খাতা দেখে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা!
এ ক্ষেত্রে তোমার রেজাল্ট কেমন হবে তা নির্ভর করে তোমার হাতের লেখা এবং তুমি কত পৃষ্ঠা করে লিখেছ!
এ পরিস্থিতিতে তোমার খাতা সঠিক মূল্যায়ন হবে না তা তুমি শিউর থাকো।
এই সমস্যা এড়াতে কী তুমি করতে পারো?
 হ্যাঁ, তুমি তোমার খাতা সঠিক মূল্যায়ন করতে বাধ্য করতে পারো। কীভাবে? 
  • পরীক্ষার প্রশ্ন পড়ে যেটা তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি কমন পড়েছে সেটা লিখতে হবে।
  • তোমার খাতা নজরে আনতে তোমাকে রঙ পেন্সিল (নীল,সবুজ) ব্যাবহার করতে হবে।
  • অবশ্যই প্যারাগ্রাফ আকারে প্রশ্ন লিখতে হবে।মানে (খ) যদি লিখো তাহলে ২টি অংশ,(গ) যদি লিখো তাহলে ৩টি অংশ এবং (ঘ) যদি লিখো তাহলে ৪টি অংশ করে লিখতে হবে।
  • যতটা পারো হাতের লেখা সুন্দর করার চেষ্টা করো।হাতের লেখা ভালো করতে গিয়ে আবার ৭টার কম লেখা যাবে না। 

 ধর্মীয় ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হও


স্বাভাবিক ভাবেই তোমার মন এ প্রশ্ন জাগতে পারে, এই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে কেন আমি সবচেয়ে নিচে রাখলাম।
এর যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
উপরের যতগুলো টিপস রয়েছে তা এই ধর্মীয় ক্ষেত্রে সক্রিয় হলে অন্য কিছু করা লাগবে না।
শুধুমাত্র এই একটি মাত্র বিষয় মেনে চললে আর কিছু লাগবে না।
প্রথমেই যদি এই টিপসটি দিতাম তাহলে উপরের টিপস গুলা বলার প্রয়োজন ছিলনা।
তাই সবার শেষে এই টিপসটি দিলাম।
যেমন: নামাজ তোমাকে নিয়মিত করবে।
জামায়াতের সজ্ঞে নামাজ পড়লে সময়ের মূল্য সম্পর্কে সচেতন করবে।
এ রকম উদারহন দিলে পোষ্ট শেষ করতে পারবো না।
টিপস: ধর্মীয় ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
উপসংহার: উপরের গুলো পড়েছ মানে এই নয় যে A+ পেয়ে যাবে।এটা নির্ভর করে তোমার উপর।তুমি যতটা কাজে-কর্মে দেখাতে পারবে ততটা সফল হবে।ভালো ছাত্র নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণার ফল মাত্র! আমি আশা করি তুমিও সফল হবে।ইনশাআল্লাহ খোদা হাফেজ

ভিডিওঃ





Please note that the content, videos and images used in this blog may have been taken from various websites/books. We share them for your valuable content, others' benefit. However, if you have any objections, please let us know. Your content will be removed.
insurance bd,Online education,insurance,Online education, bkash,nagod,mobile banking bd